প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত শ্যামনগর থানাস্থ গুমানতলী ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনের কোল ঘেষে বয়ে যাওয়া চুনানদী ও কদমতলা নদীর তীরে গ্রাম্য পরিবেশে অবস্থিত। ১৯৪০ ইং সালে ঐতিহ্যবাহী গুমানতলী সরদার বংশের কৃতি সন্তান মরহূম আলহাজ কোরবান আলী সরদার সাহেব দ্বীন শিক্ষার আলো সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে তাঁর সহদর ভাই মরহুম আলহাজ ছোবহান আলী সরদার, মরহুম আলহাজ জুম্মান আলী সরদার, মরহুম আলহাজ বাহাদুর আলী সরদার, মরহুম আলহাজ আহাদুর আলী সরদার গনের পরামর্শে তৎকালীন সময়ে চট্টগ্রাম থেকে আগত মরহুম জনাব মাওলানা আমীর হুসাইন (রহঃ) এর তত্ত্বাবধানে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটির সূচনা লাভ করে। খুলনা বিভাগ অঞ্চলের সর্বপ্রথম অত্র গুমানতলী ফাজিল মাদ্রাসাটি ০১/০১/১৯৫৮ ইং তারিখে দাখিল ও ০১/০৭/১৯৬৯ ইং তারিখে আলিম এবং ০১/০৭/১৯৭৮ ইং তারিখে ফাজিল শ্রেণির পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সহিত পরিচালিত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের বিধি মোতাবেক সমগ্র দেশের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একই সাথে এমপিও ভুক্তির আদেশ জারি মোতাবেক বিগত ০১/০৯/১৯৮৫ ইং তারিখে অত্র প্রতিষ্ঠানটিও এমপিও ভুক্ত হয়। সেই অবধি অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শিক্ষার্জন করে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রতিষ্ঠান প্রধান সহ নানা পদে ও বাংলাদেশ সরকারের সরকারী কর্মকর্তার গূরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এ প্রতিষ্ঠান হতে প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় এ যাবৎ পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী স্ব স্ব শ্রেণিতে সরকারী বৃত্তি সহ গোল্ডেন প্লাস অর্জন করেছে। অত্র মাদ্রাসাটি একটি সচেতন গর্ভণিং বডি (কমিটি) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং এখানে দরিদ্র ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিমখানা বিদ্যমান আছে। বর্তমানে ৩১ জন শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারী সরকারী তহবিল থেকে প্রতি মাসে বেতন পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করছেন। সুতরাং সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে গুমানতলী ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসাটি সুপরিচিত ও প্রসিদ্ধ।